ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনের খাবারের মান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের শেষ নেই। বাসি খাবার, পোকামাকড়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও উচ্চমূল্য—এসব যেন নিত্যসঙ্গী। আসন্ন ডাকসু নির্বাচন ২০২৫ কে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন মাস্টার্সের (সেশন ২০২৩-২৪) শিক্ষার্থী জামাল রুহানি। তার একমাত্র নির্বাচনী লক্ষ্য—খাবারের মানোন্নয়ন।
‘One goal, one challenge: Food Quality এই স্লোগানকে সামনে রেখে জামাল রুহানি বলেন, হয় আমি থাকব, না হয় ক্যান্টিনের বাজে খাবার থাকবে। নির্বাচিত হলে ক্যান্টিনের খাবারের মান পরিবর্তন হবেই।’
তিনি আরও দৃঢ়ভাবে জানান, ‘যদি প্রশাসন ক্যান্টিন মালিকদের নিয়ন্ত্রণে পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়, তবে মুরুব্বি মালিকদের চুক্তি বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আগ্রহী সাবেক শিক্ষার্থীদের হাতে ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে। ইনশাআল্লাহ। এভাবে আর চলতে পারে না।’
শিক্ষার্থীদের চিরচেনা সমস্যা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব ক্যান্টিনেই স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের অভাব শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ। অনেক সময় পরীক্ষার মৌসুমে কিংবা রাতের খাবারে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয় নিম্নমানের খাবার খেতে। বারবার অভিযোগ উঠলেও টেকসই কোনো সমাধান হয়নি।
জামাল রুহানির একক লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া পড়েছে। অনেকে মনে করছেন, যদি সত্যিই ক্যান্টিন ব্যবস্থাপনায় সংস্কার আনা যায়, তবে শিক্ষার্থীদের নিত্যদিনের ভোগান্তি অনেকটাই কমবে।